বাংলাদেশের সংগ্রহ করা (গিফট এবং ক্রয়) অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আর কারও প্রশ্ন তোলার কোনো অবকাশ নেই মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ টিকার প্রতি আমাদের বিশ্বাস যেমন আছে বিদেশি কূটনীতিকদেরও তাই। বিদেশিরা তাদের নিজ নিজ দেশে ব্যবহার হওয়া টিকার ওপর যতটা আস্থা রয়েছে এখানেও তাই। আর এ জন্য তারা ঢাকাতে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে টিকা গ্রহণ করছেন। অপর প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, প্রথমতো এটা (এককভাবে) ভারতের টিকা নয়। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত টিকা এটি, যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন মেনে ভারতীয় খ্যাতিমান টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউট তৈরি করেছে এবং অনেক গবেষণার পর বাজারজাত করেছে। ভারতের টিকাকে আলাদা করে দেখার কিছু নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, এরপরও যারা টিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন। ঢাকাস্থ ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ অন্য ডিপ্লোম্যাটরা ঢাকাতেই টিকা গ্রহণ করছেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা লার্জ ভলিয়মে অনুরোধ পেয়েছিলাম। রূপপুরে আড়াই হাজারের বেশি রাশিয়ার নাগরিক রয়েছে। মস্কো তাদের জন্য স্পুটনিক টিকা পাঠাচ্ছে। সেই টিকা প্রয়োগে রাশিয়া বাংলাদেশের সহায়তা চেয়েছে। আমরা তাতে সম্মতি দিয়েছি। দেশবাসীর উদ্দেশ্যে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের চিকিৎসক-নার্স টিকা গ্রহণ করেছেন। ঢাকায় থাকা সব ডিপ্লোম্যাটই এটি গ্রহণ করবেন আশা করে তিনি বলেন, সামনের দিনে আপনারা তা দেখবেন। এ সময় বিদেশে গমনেচ্ছুদের জন্য কোনো কারণে টিকা গ্রহণ করার শর্ত থাকলে তা পররাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণ সংস্থাকে অবহিত করা হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী জানান, কেবল কূটনীতিক নয়, ঢাকাস্থ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও সংগঠনের কাছেও তালিকা চাওয়া হয়েছে। তারা আগ্রহী হলে সে মতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য, উদ্বোধনী দিনে টিকা গ্রহণকারী কূটনৈতিক কোরের ডিন ভ্যাটিকেন আর্চ বিশপ জর্জ কোচারি কূটনীতিকদের জন্য স্বতন্ত্র কেন্দ্রে টিকাদানের ব্যবস্থা করায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একইভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত রেনজে তেরিঙ্ক এক টুইট বার্তায় নিজের টিকা গ্রহণের ছবি প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান। উদ্বোধনী পর্বে টিকা গ্রহণকারী ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী টিকাদানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আমি বাংলাদেশি সমস্ত বন্ধুদের বলবো আপনারা টিকা নিন। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত সব সময় আছে। তিনি বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব এবং ভ্যাকসিন মৈত্রী নিয়ে উপস্থিত গণমাধ্যম প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে হাইকমিশনার জানান, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে এবং ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পেলেই দেশটি ট্যুরিস্টদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। সেই সঙ্গে ঢাকা থেকে ভিসাও ইস্যু হবে।